ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

‘সেফ এক্সিট’র বিষয়টি নাহিদকেই পরিষ্কার করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৭, অক্টোবর ৮, ২০২৫
‘সেফ এক্সিট’র বিষয়টি নাহিদকেই পরিষ্কার করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ চাইছেন বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের মন্তব্য প্রসঙ্গে পরিবেশ এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এই বিষয়গুলো নাহিদকেই পরিষ্কার করতে হবে।

নিজের অবস্থান জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি একদম কোনো ‘এক্সিট’ খুঁজছি না, দেশেই ছিলাম, এর আগেও বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা এসছে।

ওসব ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশে থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে যাব আপনাদের সঙ্গে, ইনশাল্লাহ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।  

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেখানে ছাত্র প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন এবং তাদের ভেতর থেকে একজন উপদেষ্টা বের হয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন। আরও দুইজন উপদেষ্টা আছেন। সরকার থেকে বের হয়ে আসা উপদেষ্টা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কিছু উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে বিট্রে (প্রতারণা) করেছেন, যা তারা আশা করেননি৷ তিনি মন্তব্য করেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে’। সময় হলে এই উপদেষ্টাদের নাম বলবেন বলেও জানান নাহিদ।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন নাহিদ ইসলাম কেন কোন কথা বললেন, উনি যে নামগুলো প্রকাশ করেননি, যে আলোচনার বিষয়গুলো প্রকাশ করেননি, সেটা নিয়ে আমি কেমন করে মন্তব্য করব? আমি যেটুকুন দেখতে পাই খোলা চোখে, সেটা হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের মতো এই নবগঠিত রাজনৈতিক দলের (এনসিপি) সঙ্গে সরকারের ভালো একটা ওয়ার্কিং রিলেশন। এটা উনি অভিমান থেকে বলেছেন, নাকি এটা ওনার কোনো একটা ব্যাপারে গ্রিভেন্স (ক্ষোভ) আছে—এই বিষয়গুলো পরিষ্কার ওনাকে করতে হবে। উনি যদি কখনো কোনো বিষয় পরিষ্কার করেন, তখন সেটা নিয়ে সরকারের বক্তব্য বা কথা আসে, তার আগে তো সরকারের বক্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।

নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এসব নিয়ে সরকারের বা আপনাদের কোনো ধরনের কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানান বিষয়ে নানান কথা বলে যাচ্ছেন—সরকারের বিভিন্ন বিষয়ও এবং এটা বলা তাদের তো অধিকার, এটাই তো গণতন্ত্রের চর্চা। এখন প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে বলেন তো আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাব? যখন আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে তখন অবশ্যই সরকার সে বিষয় নিয়ে কথা বলবে। সে বিষয় নিয়ে কাজ করবে, সে বিষয় নিয়ে এঙ্গেজড হবে, সে বিষয় নিয়ে সবাইকে জানাবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তো সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।  

বলা হচ্ছে যে ‘উপদেষ্টা বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল’—এমন প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে আসলে তার বক্তব্যকে আমার সাবস্টেন্সিয়েট করার বিষয় না, আমার খণ্ডানোরও বিষয় না৷ তথ্যপ্রমাণ-উপাত্ত, মানে বক্তব্যটা স্পেসিফিক হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছি। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।