ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

গণভোটে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান আলী রীয়াজের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৭, অক্টোবর ৮, ২০২৫
গণভোটে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান আলী রীয়াজের বক্তব্য দিচ্ছেন আলী রীয়াজ

গণভোটে জুলাই সনদের ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর ওপর জনমত নেওয়া যায় কিনা রাজনৈতিক দলগুলোকে তা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গোটা দেশ অপেক্ষা করছে যে সকলে মিলে একটি ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছানো যাবে, যার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা নির্ধারিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট একটি প্রস্তাব এলে কমিশন সেটাই সরকারের কাছে অনুরোধ করবে এবং তা বাস্তবায়ন হোক, এটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টায় অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে, এই অর্থে যে গণভোটের ক্ষেত্রে আমরা সকলেই একমতের জায়গায় আসতে পেরেছি।

গণভোটের কিছু বিস্তারিত দিক নিয়ে আজকের আলোচনার মধ্যে একটি সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ।  

নোট অব ডিসেন্টগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ঐতিহাসিক এই সুযোগে দ্রুত এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সত্যের পথে অগ্রসর হওয়া জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গণভোট বাস্তবায়নের পথ ও পদ্ধতি নিয়ে আরও সুনির্দিষ্ট আলোচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হওয়ার পর সরকারের কাছে অবগত করার পরই পরামর্শ হিসেবে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গণভোটের পথে অগ্রসর হতে হলে একটি আইনি প্রক্রিয়া লাগবে, যা গণভোট অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবে। গণভোটের বিষয়বস্তু হিসেবে 'জুলাই জাতীয় সনদ' এর যেসব বিষয়ে  ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্ন মত) রয়েছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, শুধুমাত্র দলীয় অবস্থানের চেয়ে জনগণের সম্মতিকে গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে জনগণ জেনে-শুনেই সম্মতি দিতে পারে যে কিছু দলের এ বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।

আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত চেয়ে বলেন, গণভোটে জনগণের সম্মতি কীভাবে বিস্তারিতভাবে নেওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে  ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকা বিষয়গুলো আলাদা করে নেওয়া যায় কিনা। গণভোট অনুষ্ঠানের একটি সময়সীমা প্রস্তাব করা।

আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, বুধবারের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত করা যাবে। তবে প্রয়োজন হলে বড়জোর আরও একদিন বা দুদিন আলোচনা চলতে পারে। কমিশনের লক্ষ্য হলো ১০ তারিখের মধ্যে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেশ করা।

তিনি জানান, সাংগঠনিক ব্যস্ততার কারণে কয়েকটি দলের কাছ থেকে এখনো 'জুলাই জাতীয় সনদ' স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিক নাম পাওয়া যায়নি, তবে শিগগিরই তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

এই কারণে ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদে স্বাক্ষরের একটি অনুষ্ঠান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান আলী রীয়াজ।

এমইউএম/ইএসএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।