ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জোড়া মাথার কন্যাশিশুর জন্ম!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
জোড়া মাথার কন্যাশিশুর জন্ম! ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ফেরদৌসা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ দুই মাথা বিশিষ্ট (জোড়া মাথা) কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন।

বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় এলাকার স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলথকেয়ার নামে বেসরকারি ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়।



এমন শিশু জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়ায় উৎসুক জনতা ওই ক্লিনিকে ভিড় জমিয়েছে।

ওই ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক হালিমা নাজনীন মিলি জানান, জন্মের পর মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছে। শিশুটির জোড়া মাথা হলেও হাত ও পা দু’টি করে। মাথা ছাড়া শরীরের নিচের অংশ স্বাভাবিক শিশুর মতোই।

জানা যায়, শিশুটির বাবা দিনমজুর জামাল উদ্দিনের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা চৌমুহনী এলাকায়।

ক্লিনিকের সেবিকা তামান্না আক্তার জানান, ফেরদৌসা বেগমকে বিকেল ৩টার দিকে হালিমা নাজনীন মিলির তত্ত্বাবধানে এই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।   পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সিরারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।

শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন জানান, তিনি হতদরিদ্র মানুষ। সুস্থভাবে সন্তান হওয়ায় অনেক খুশি হয়েছেন। তবে এমন ব্যতিক্রম সন্তানের পরবর্তী চিকিৎসার খরচ কিভাবে জোগাবেন তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।

জামাল আরো জানান, ১০ বছর আগে তিনি  ফেরদৌসাকে বিয়ে করেন। তানিয়া (৮) ও মীম (৪) নামে তার আরো দু’টি মেয়ে রয়েছে।

এমন আলোড়ন সৃষ্টি করা নাতনির জন্ম হওয়ায় ভীষণ খুশি দাদি রাজিয়া বেগম। তিনি বলেন, আমি অাল্লাহর কাছে দোয়া করি, আমার নাতনিরে বাঁচাইয়া রাখুক। আমরা যান-প্রাণ দিয়া তারে লালন-পালন করুম।

স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল অব টোটাল হেলথকেয়ারের মালিকপক্ষের আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এখনও পর্যন্ত শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তবুও জরুরি প্রয়োজনে যদি শিশুটিকে ঢাকায় নিতে হয়, সেজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫/আপডেট সময়: ২১৫৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।