ঢাকা: ঢাকার যানজট নিরসনে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ। তার আগে নকশা, রুট নির্দিষ্টকরণ, মাটি পরীক্ষা এবং পরিবেগত বিভিন্ন সমীক্ষা ধাপগুলো শেষ করা হয়েছে।
প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপান সরকার দিচ্ছে প্রায় ১৬ হাজার ছয়শ’ কোটি টাকা। আর পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সরকারের।
মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেন জানান, নির্মাণ শুরুর জন্য সব কাজ গুছিয়ে নেয়া হয়েছে। আসছে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতেই কাজ শুরুর বিষয়টি চুড়ান্ত করে রাখা হয়েছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের মেট্রোরেলে থাকবে ১৬ টি স্টেশন। স্টেশনগুলো হচ্ছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিঝিল।
প্রতি দুমিনিট পর পর ২৪ সেট আধুনিক এবং দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল করবে এ রুটে। প্রতি সেটে থাকবে ছয়টি করে প্যাসেঞ্জার কার। ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
এরই মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মেট্রোরেল পরিচালনায় গঠন করা হয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে মেট্রোরেল আইন। উড়ালপথেই চলবে মেট্রোরেল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২০২০ সালে পুরো প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। তবে তার আগে ২০১৯ সালেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার যানজট সমস্যা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বা এসটিপি চুড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। আগামী মন্ত্রিসভায় এটি উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সংশোধিত এসটিপিতে নতুন করে আরও ৫টি মেট্রোরেল রুটের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এছাড়া উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্থাপন এসটিপির ষষ্ঠ রুটের অংশ।
মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল ডিজাইনের কাজ শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। আর ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের আগস্টে।
এছাড়া মেট্রোরেলের জন্য মূল টপোগ্রাফি জরিপ শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। একই বছর মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত ট্রাফিক সার্ভে সম্পন্ন করা হয়।
মেট্রোরেলের আশেপাশে বিভিন্ন স্থাপনার যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য এ বছরের জুলাই মাসে আরেকটি সার্ভে সম্পন্ন করা হয়।
মাটি পরীক্ষা কার্যক্রমটি এ বছরের জুন মাসে শেষ করা হয়। আর পরিবেশগত সার্ভেটি গত আগস্ট মাসে সম্পন্ন করা হয়।
বর্তমানে এ প্রকল্পের জিওটেকনিক্যাল সার্ভে পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি আগামী বছরের মে মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
এছাড়া রাইট ওফ ওয়ে (আর ও ডব্লিউ) নামে আরেকটি সার্ভে বর্তমানে চলমান। এটি আগামী বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হবে।
ইউটিলিটি ভ্যারিফিকেশন নামে আরেকটি সার্ভে চলমান রয়েছে যা আগামী বছরের মার্চে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসএ/জেডএম