ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরির ৫ বছরের আগে মন্ত্রণালয়ে পদায়ন নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
চাকরির ৫ বছরের আগে মন্ত্রণালয়ে পদায়ন নয়

ঢাকা: পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তাকে মন্ত্রণালয় বা বিভাগে পদায়ন করা হবে না।

একই সঙ্গে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবেও পদায়ন করা যাবে না।

 

বুধবার (১০ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি এ সংক্রান্ত্র নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।  

নীতিমালা অনুসারে, ২০০৬ সালের ১ জুলাই এবং এরপরে চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বা বিভাগে এই পদায়নের শর্ত প্রযোজ্য হবে।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং কাজে গতিশীলতা আনতে গত ৯ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা বুধবার প্রকাশ করা হয়।  

নীতিমালায় বলা হয়, চাকরিকাল ছয় বছর হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাঠ প্রশাসনের অভিজ্ঞতাসহ চাকরি মেয়াদ ৮ বছর হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাবেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

চাকরির শুরুতে সহকারী কমিশনারদের (শিক্ষানবিশ) নিজ বিভাগ বাদে অন্য বিভাগে পদায়ন করা হবে। শিক্ষানবিশকালে কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না।

তবে প্রশাসনিক কারণে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে একই বিভাগের আওতাধীন অন্য কোনো জেলায় বদলি করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, সিনিয়র স্কেল পাওয়া এবং চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে ছয় বছর হলে একজন কর্মকর্তাকে ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকায় (ফিটলিস্ট) অন্তর্ভুক্তির জন্য বিবেচনা করা হবে।

এই তালিকায় থাকা কোনো কর্মকর্তাকে নিজ বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা যাবে।

তবে এই কর্মকর্তাকে তার স্বামী বা স্ত্রীর জেলায় পদায়ন করা যাবে না।

নীতিমালায় সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও ইউএনও হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা এবং মোট চাকরিকাল কমপক্ষে আট বছর পূর্ণ হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হবে।

প্রবেশের পর চাকরির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হলে এবং চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য পদায়ন করা হবে।

সহকারী কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহারের পর সহকারী কমিশনার বা জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার পদে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিভাগে ন্যস্ত করা হবে।

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা ও কর্মদক্ষতা বিবেচনায় বিভিন্ন শ্রেণীর জেলা/উপজেলায় পদায়ন করা হবে। পার্বত্য ও অন্য দুর্গম কর্মস্থলে কোনো কর্মকর্তার কর্মকাল হবে দুই বছর।

কোনো কর্মকর্তাকে এই জেলায় একাধিকবার পদায়ন করা যাবে না। তবে শিক্ষানবিশকালে পদায়নকে নিয়মিত পদায়ন হিসেবে গণ্য করা হবে না।
নীতিমালায় বলা হয়, কোনো কর্মকর্তার উচ্চশিক্ষার স্বার্থে কর্মরত পদে নূন্যতম চাকরিকালের শর্ত শিথিল করা যাবে।

কোনো কর্মকর্তার নিজের অথবা স্ত্রী/স্বামী/সন্তানের দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার স্বার্থে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত মেয়াদকালের আগে সুবিধাজনক স্থানে পদায়ন করা যাবে।

কোনো কর্মকর্তার স্বামী/স্ত্রী উভয়েই চাকরিজীবী হলে একই কর্মস্থলে বা যথাসম্ভব নিকটবর্তী কর্মস্থলে পদায়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় নীতিমালায়।

বাংলাদেশ সময় : ০০৩৫ ঘণ্টা, নভ্ম্বের ১২, ২০১৫
এসএমএ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।