ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটনবাহী নৌ-যান চলাচল বিষয়ে আলোচনা ক্রমশ এগিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে নয়াদিল্লিতে আগামী বৈঠকে এ নিয়ে একটি সুরাহার সুযোগ দেখছেন তারা।
বৈঠকে এ সংক্রান্ত খসড়া সমঝোতা স্মারকপত্রের আলোচনার কথা বলা হচ্ছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে।
নয়াদিল্লিতে আগামী ১৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক। তিনদিনের বৈঠকটি ১৬ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।
বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল যাবেন সেখানে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন তারা। এতে নেতৃত্ব দেবেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী।
বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অন্য আলোচ্য বিষয় হচ্ছে- প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর আওতায় বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে ট্রানজিট সংক্রান্ত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ।
এছাড়া কোস্টাল শিপিং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর, নৌ-প্রটোকল রুটের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানের আর্থিক দায়-দায়িত্ব ও করণীয়, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত প্রটোকল অনুস্বাক্ষর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক সুব্রত রায় মৈত্র, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসির আরিফ মাহমুদ, মংলা বন্দরের সদস্য (অপারেশনাল) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাঈদ আহমেদ, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক ফখরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সুলতান মো. ইকবাল, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার এনামুল করিম, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মো. শফিকুল হক এবং গালফ অরিয়েন্ট সিউজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহফুজ হামিদ।
গত ২০ থেকে ২৩ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ বছরের ৬ জুন বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট, পিআইডব্লিউটিটি এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আগামী ১৯ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর