জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অর্থপাচারকারীরা অত্যন্ত ধুরন্ধর। আমরা তাদের ধরতে গেলে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করে অর্থপাচার করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তরকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রশ্নকর্তা বলেন, গত এক বছরে ১২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এর প্রতিরোধে কী করবেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচারকারীরা প্রচণ্ড ধুরন্ধর। যখন সরকার ধরার চেষ্টা করে, ঠিক তখনই তারা নতুন নতুন কায়দা আবিষ্কার করে ফেলে। এটি পৃথিবীর নিয়ম, যারা ধূর্ত, যারা দুষ্ট তারা সব সময় যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে। যথেষ্ট সর্তকতায় সেটা করে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু অর্থপাচার রোধে সাফল্যের কাহিনী বলার সময় আমার এখনও আসেনি।
সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুদ্রাপাচার নিয়ে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয় সংবাদ মাধ্যমে তা অতিরঞ্জিত। এই প্রবণতা সব সময়ই থাকে। কিন্তু অর্থপাচার যে হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আগে অর্থপাচারের মাত্রা এতো বেশি ছিল যে আমরা ধূসর দেশের তালিকায় ছিলাম। গত চার বছরে চেষ্টা করে সেই তালিকা থেকে আমাদের দেশ অবমুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মুদ্রাপাচার নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা পর্যবেক্ষণ করে। সেই সংস্থা কয়েকদিন আগে আমাদের দেশে এসেছিল, তারা কয়েক মাস পরপরই আসে ঘুরে যান। আমি তাদের কাছে বলেছি- আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসএম/আইএ
** ৪৩ অর্থ বছরে ৯১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি