ঢাকা: রাজধানীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যেসব নাগরিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন তাদের সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাসিক অপরাধ বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় ডিএমপির ৪৯ থানার ওসি, ৮টি জোনের ডিসি এবং ক্রাইম জোনের ডিসিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তারা জানান, নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা সব নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। কেউ নিরাপত্তা চান বা না চান সেটা দেখার বিষয় নয়, গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ডিসিদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অনেক নাগরিক নিজেও জানেন না তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই তারা নিরাপত্তা চান না। তবে গোয়েন্দা তথ্যে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বিট পুলিশং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে।
যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশকে অধিকতর সতর্কতা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সভায়।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানায়, ডিএমপির চেকপোস্টগুলোতে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চেকপোস্ট নিয়ে ডিএমপির কিছু নতুন পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ডিএমপিতে আরও কিছু ফোর্স বাড়ানো হবে বলে সভায় জানানো হয়।
আগামী মাস থেকে চেকপোস্ট গুলোতে পুলিশ তিন সিফটে দায়িত্ব পালন করবে বলে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানায়, প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তাকে তাদের নিজ নিজ থানা এলাকায় বেশি বেশি উঠান বৈঠক করার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে ও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবে। এ বৈঠকে থানার ওসি, জোনের এসি ও ডিসিরা অংশ নিবেন।
সভায় অক্টোবর মাসের ডিএমপির প্রতিটি বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তথ্যানুযায়ী অক্টোবর মাসে ডিএমপিতে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু এলাকায় দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। সেসব বিষয়ে দায়ের করা মামলাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ডিএমপির তেজগাঁও জোন এবারও প্রথম হয়েছে। এদিকে বাকি ৭টি জোনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো করার জন্য উদ্যোগ নিতে বলেছে ডিএমপি কমিশনার।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, প্রতিমাসের মত এমাসেও অপরাধ বিষয়ক একটি সভা হয়েছে। গত মাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ সভায় আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসজেএ/আরএ