ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংসদে এমপিদের তোপের মুখে শিক্ষামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
সংসদে এমপিদের তোপের মুখে শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যরা (এমপি)। জাতীয় সংসদে এনিয়ে একাধিক এমপির সমালোচনার মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

যদিও আলোচনা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী।
 
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী। আলোকপাতের শুরুতেই তিনি বলেন, এতোক্ষণ মন্ত্রী ছিলেন, আমরা একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো, তিনি শুনবেন। তার পর যাই হোক একটি সমাধান আসবে। কিন্তু মন্ত্রী আমাদের কথা না শুনেই চলে গেলেন।

এরপর হাজি সেলিম বলেন, এই সংসদ নিয়ে টিআইবি বলেছে পুতুল নাচের নাট্যশালা...। সংসদে আমরা অনেক কথাই বলি, কিন্তু কোনো কাজ হয় না। তাহলে কি টিআইবির কথাই ঠিক?
 
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির হাতে কোনো ক্ষমতা থাকবে না, এর জন্য একটি বিশেষ কমিটি থাকবে। সেই কমিটির সুপারিশ ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দেবে মাত্র। মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন এমপিরা।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য, জেলা প্রসাশনের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি, প্রিন্সিপাল নিয়োগ বোর্ডে থাকেন। দু’একজন সংসদ সদস্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়তো থাকতে পারেন। তাই বলে ঢালাওভাবে সমস্ত সদস্যদের দোষ দেওয়াটা শিক্ষামন্ত্রীর ঠিক হয়নি।
 
ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, মন্ত্রীদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) জানতেন আমরা সংসদ সদস্যরা আজকে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো বা তার কাছে জানতে চাইবো বলে তিনি আগেভাগে বেরিয়ে চলে গেছেন।

সরকারদলীয় সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা তুলে ধরে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা এমপিরা মেধার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেইনি। আমরা অনেক দেখেছি সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষকই আছেন যারা সারাবছরে ঠিকমতো ছেলেমেয়েদের সিলেবাসই শেষ করতে পারেন না।
 
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দুর্নীতি থেকে আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কিভাবে রক্ষা করবো এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তিনি বলেন, আজকে একজন সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকায় শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু তিনি মাত্র চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি। বাকিগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কি অবস্থা। আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।