ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নূর হোসেনকে বুঝে নিতে বেনাপোলে বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
নূর হোসেনকে বুঝে নিতে বেনাপোলে বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল:  নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ফেরত নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেনাপোল প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে তারা বেনাপোল চেকপোস্ট এর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।



বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে যে কোনো সময় নূর হোসেনকে হস্তান্তর হতে পারে। দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো এ বিষয়ক খবর প্রচার করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রও এ বিষয়ে আভাস দিয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্টে উপস্থিত রয়েছেন, ২৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর লেয়াকত হোসেন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ডিবি পুলিশের ওসি রাব্বি হাশমি, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান, ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

বিকেল ৫টার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আসতে শুরু করে বলে জানা গেছে।

ওসি অপূর্ব হাসান বাংলানিউজকে জানান, আমরা একটা খবরের জন্য এখানে অবস্থান করছি। তবে সেটা নূর হোসেনকে হস্তান্তর কি না তা এখনো বলতে পারছি না।

তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নূর হোসেনকে হস্তান্তরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা চলছে। দ্রুততম সমেয়ের মধ্যে হস্তান্তর হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. খন্দকার মহি উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দু’দিন আগে নূর হোসেনকে ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করার বিষয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।  

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

নিহত নজরুলের মতো নূর হোসেনও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ছিলেন। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

সাত খুনের মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছে। পলাতক রয়েছেন র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ আসামি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।