ময়মনসিংহ: নাদিরা আক্তার (১১) নামে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে নিজের প্রাইভেটকার চালক শাহজাহান হাবিব মুন্নাকে (২০) পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহ-নয় (নান্দাইল) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এমপি ও তার স্ত্রী নগরের সানকিপাড়া হেলথ অফিসারের গলিতে অবস্থিত নিজেদের বাসা থেকে তাকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের কাছে ধরিয়ে দেন।
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাদিরা আক্তারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুঁসলিয়ে স্কুল থেকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যান তারই ফুফাতো ভাই মুন্না। পরে তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ শহরতলীর গন্ডফা বাইপাসের ইটভাটা এলাকায় ফেলে চম্পট দেন মুন্না।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী জানান, হত্যাকাণ্ডের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এমপি তুহিন বলেন, মুন্না প্রায় তিন বছর ধরে আমার প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে চাকরি করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বড় ছেলেকে স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে এসে গাড়ি মেরামত করতে গ্যারেজে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে পড়েন মুন্না।
আমার স্ত্রীকে ফোন করে তিনি বলেন যে গাড়ি নিয়ে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। এদিকে, সন্ধ্যার দিকে পুলিশ সুপার (এসপি) আমাকে ফোন করে বলেন, স্যার আপনার গাড়ির চালকের নাম কী হাবিব? আমি বললাম না, আমার প্রাইভেটকার চালকের নাম মুন্না। ১০ মিনিট পর পুলিশ সুপার আবার ফোন করে শিশু হত্যার কথা আমাকে খুলে বলেন। আমি তখন নান্দাইলে। সেই সঙ্গে কৌশল করে কথা বলে মুন্নাকে বাসায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। সে অনুযায়ী আমার স্ত্রী তাকে প্রাইভেটকারসহ বাসায় আসতে বলেন। পরে মুন্না এলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এমপি আরো বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি যে মুন্না এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে পারেন। আমার ছোট ছোট দু’টি বাচ্চাকে মুন্নাই স্কুল থেকে আনা-নেওয়া করতেন।
তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, এ হত্যার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কী না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
এসআই