নারায়ণগঞ্জ থেকে: সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে না নিয়ে কারাগারে পাঠানোয় হতাশা ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হত্যার শিকার অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে আদালত থেকে বেরিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানো সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাকে (নূর হোসেন) যেভাবে জামাই আদর করে আনা হয়েছে এবং রিমান্ডে না নিয়ে দ্রুত কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাতেই বোঝা যায়, কোনো কিছু আড়াল করার জন্যই এমন করা হয়েছে। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম, কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেননি।
তিনি আরও বলেন, নূর হোসেন এজলাসে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন, দেখে মনে হয়েছে আমরা তার হাসির পাত্র।
এসময় তার স্বামী নজরুল ইসলামের কথা বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেলিনা ইসলাম বলেন, আমার বাচ্চারা এখনো বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। আমার এক বাচ্চা অনেকদিন হাসপাতালে ছিল।
মামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ মামলার ছয় আসামি থেকে শুরুতেই পাঁচজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা আগের মতোই অপরাধ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিলে এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থের যোগানদাতাদের নাম বেরিয়ে আসবে, তাই এমন করা হয়েছে। তিনি খুব দ্রুত বেরিয়ে আসবেন এবং আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন নজরুলের স্ত্রী।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে র্যাব-১ এর কাছে হস্তান্তর করে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাতেই কঠোর নিরাপত্তায় তাকে নিয়ে বেনাপোল থেকে ঢাকার পথে রওয়ানা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছায় গাড়ি বহর।
দুপুরের পর তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
এসএইচ