ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের রায় কার্যকর হলেই গুপ্ত ও প্রকাশ্যে হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চে মুক্তচিন্তায় হামলা, ‘রুখে দাঁড়াও বাংলা’ স্লোগান সামনে নিয়ে ‘ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যাকারী এবং আহমেদুর রশীদ টুটুল, রণদীপম বসু ও তারেক রহিমের হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সকল খুনের বিচার ও জানমালের নিরাপত্তা চাই’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের রায় আপিল বিভাগে চূড়ান্ত হয়েছে। এরপরও তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। তাদের বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণেই একের পর এক গুপ্ত ও প্রকাশ্যে হত্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কুখ্যাত দুই যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর হলেই আমি মনে করি গুপ্ত, প্রকাশ্যে হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, শুধু তাদের বিচার না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে যারা অস্থিরতা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে যেসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহযোগিতা করছে তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে।
ইমরান বলেন, দেশবিরোধী একটি চক্র গুপ্তহত্যার মহোৎসবে মেতেছে। তারা শুধু সাধারণ মানুষদেরই হত্যা করছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও হত্যাযজ্ঞ
চালাচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না। হত্যাকারীরা পরিস্কার করে দিয়েছে যে এ দেশকে তারা স্থিতিশীল থাকতে দিবে না। তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ্রাম পর্যায়ে সাংষ্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই গুপ্ত হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ইমরান এইচ সরকারের বক্তব্যের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে উদীচীর শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। একক আবৃত্তি করেন মিথুন আহমেদ ও বেলায়েত হোসেন। উপস্থাপনায় ছিলেন উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে মুক্তমনাসহ সাধারণ মানুষদের হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর আবার শুরু হয় গান, আবৃত্তি পরিবেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
একে/আরআই