ঢাকা: কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ার কান্দ্রি গ্রামে ইয়াসমিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে অগ্নিদগ্ধ ইয়াসমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে এ খবর জানা যায়।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে তার পরিবার দাবি করছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে ইয়াসমিনের দেবর আলী আহম্মদ পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ ইসয়াসমিনের মা মাফিয়া বেগম বাংলানিউজকে জানান, গত রাতে (শুক্রবার) তার মেয়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থকে বের হন। এ সময় ওঁত পেতে থাকা ইয়াসমিনের দেবর আলী আহম্মদ ইয়াসমিনের মুখ চেপে ও দ্রুত পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে আনা হয়।
ঢামেক চিকৎসক সূত্রে জানা যায়, ইয়াসমিনের ৮৯ শতাংশ শরীর ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিতাস উপজেলার জিয়ার কান্দি গ্রামে ইয়াসমিনের বাড়ি। তার বাবার নাম ইব্রাহীম ও স্বামী মোতালেব হোসেন।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও এ ধরনের কোনো খবর পাইনি।
এদিকে, ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেন্টু চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, দগ্ধ ইয়াসমিনের ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এজেডএস/টিআই