ঢাকা: সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী এ কে এম নুরুল ইসলাম দেশের আইনমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি সহধর্মিণী কবি জাহানারা আরজু এবং দুই ছেলে, এক মেয়ে ও আট নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি। ছোট ছেলে মোহাম্মদ জাহিনুল ইসলাম পেশায় প্রকৌশলী।
মরহুম এ কে এম নুরুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিচারক ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকার আমলে ১৯৮৫ সালে আইনমন্ত্রী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮৭ সালে তাকে উপরাষ্ট্রপতিও করা হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জের বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
মরহুমের জানাজা রোববার (১৫ নভেম্বর) বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর। সেখানে বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে আবারও জানাজা শেষে খলিলপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত সপ্তাহে অ্যাপোলো হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫, আপডেট ০৮২৬
এএ/আইএ