ঢাকা: ‘আমার ছেলেটা খুবই শান্ত স্বভাবের। কিন্তু লেখাপড়া করতে চায় না।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা গাউছিয়ার দক্ষিণ পাড়ার তরুণ মিয়ার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া থাকেন আহত রীনা নাসরিন।
যে ছেলের বটির আঘাতে তিনি আহত, সেই ছেলের জন্যই তিনি চিন্তিত। ছেলের চিন্তায় চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার। স্বগোতিক্তের মতো বললেন, আজ (শনিবার) সাইফ টিভি দেখছিল। আমি তাকে বকা দিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে বটি নিয়ে আমার কোমরে কোপ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে রক্তে ভেসে যায় আমার কোমর। তা দেখে ছুটে পালিয়ে যায় সে। আমি বলি, যাসনে খোকা।
কথাগুলো বলতে বলতে আবারও চোখ ঝাপসা হয়ে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ট্রলিতে থাকা রীনা নাসরিনের।
ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত এই মা কিছুপর আবারও বলতে শুরু করলেন, আমার ছেলেটা যে কোথায়, কি করছে! খুব চিন্তা হচ্ছে আমার।
রীনা বাংলানিউজকে জানালেন, ছেলে সাইফ স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। তার আরেক ছেলেও লেখাপড়া করে। আর স্বামী শরিফুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এজেডএস/আরএইচএস/আরএইচ