ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নবান্ন উৎসব

সংগীত- নৃত্যে মুখর চারুকলার বকুলতলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
সংগীত- নৃত্যে মুখর চারুকলার বকুলতলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাক-ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে লোকজ সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মুখর হয়ে উঠেছে চারুকলার বকুলতলা।

প্রায় ৬ ঘণ্টা বিরতির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব।



বিকাল সাড়ে ৪টার পর  জনতার ঢল নামে। কানায় কানায় ভরে উঠেছে বকুলতলা।

চলছে সঙ্গীত আর নৃত্য পরিবেশনা। তার সঙ্গে বাদ্যশিল্পীরা বাদ্যযন্ত্রে তুলছেন নানা তাল। আছে কবিতা আবৃত্তিও।

রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শুরু হয় উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে সকাল ৭টায় শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য আর আদিবাসী ওয়ানগালা জুম নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

বকুলতলায় বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত এ প্রাণের উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ। শুরুতেই প্রিয়াংকা গোপ’র রাগ সঙ্গীত আর ইফতেখার আলম প্রধানের তবলা বাদনের মধ্য দিয়ে এবারের নবান্ন উৎসব শুরু হয়।

এরপর দলীয় নৃত্য, ফরিদা পারভিন ও মাহাবেদ ঘোষের একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, সমবেত পরিবেশনা, আদিবাসী ওয়ানগালা জুম নৃত্যমুখর হয়ে ওঠে চারুকলার বকুলতলা।

এরপর দলীয় নৃত্য, ফরিদা পারভিন ও মাহাবেদ ঘোষের একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, সমবেত পরিবেশনা, আদিবাসী ওয়ানগালা জুম নৃত্যে মুখর হয়ে ওঠে চারুকলার বকুলতলা। সকাল নয়টার দিকে নবান্ন উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিজন সিরাজুল ইসলাম। এরপর পরিবেশিত হয় রাজশাহীর রঙ্গরস থিয়েটারের আলকাপ।
 
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত দলীয় সংগীত সমবেতদের মনকে উদ্বেলিত করে তোলে। এর মধ্যে ছিলো- ‘বকুল ফুল বকুল ফুল... সোনা দিয়ে হাত কেন বান্ধায়লে...শালুকের লাজ নাই তাই তো শালুক ফুটে...........’। ‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা... আবার আনবে বয়ে বিশ্বের সম্মান বাংলার কথা আর কবিতা...........’। ‘শোল মাছ খাই না আমি... বোয়াল মাছ না খায় মুই... বোয়াল মাছের লম্বা লম্বা দাঁড়ি.......’ সহ আরও কয়েকটি গানের মূর্ছনা।
 
নবান্ন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর রঙ্গরস থিয়েটারের আলকাপ পরিবেশনের পর চারুকলার বকুলতলা থেকে বের হয় নবান্ন শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি টিএসসি চত্ত্বর ঘুরে আবার বকুলতলায় এসে শেষ হয়।

এরপর প্রায় ৬ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে স্নিগ্ধা রিতার একক সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব।

এরপর নৃত্য পরিবেশন করে একদল শিশু নৃত্যশিল্পী। এ নৃত্যের সঙ্গে বাজতে থাকে ঐতিহ্যবাহী গান ‘ও ধান ভাঙেরে ঢেকিতে পাড় দিয়া। ঢেকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া.......’।

এরপর পরিবেশিত হয় লালনগীতি। শিল্পী শায়লা শামিন ‘করমনা কাজ ছাড়ে না মদনে........’ এবং মানুষ ভজলে সোনার মানুষ.......’ গানে মুগ্ধ করেন সমবেতদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এএসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।