ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরে সাতজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারাই মূলত ফাঁসির আগে-পরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
এই সাতজন হলেন, জল্লাদ আবুল, হজরত, মাসুদ, ইকবাল, রাজু, শাহজাহান ও মুক্তার। সাতজন জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর থেকে শুরু করে তার আগে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া, মরদেহ ওঠানোর মতো সব কাজ করবেন। এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রস্তুত হয়ে গেছে ফাঁসির মঞ্চ।
কারাগারের একটি বিশেষ সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগেও, যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসিতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে জল্লাদ শাজাহান ও রাজুর। তারা দু’জনই সুঠাম দেহ ও অধিক মনোবলের অধিকারী।
২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন শাজাহান। অপরদিকে, ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরে সময় রাজু ছিলেন জল্লাদের ভূমিকায়।
জল্লাদ শাজাহান ১৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদি। তিনি ৩৬ বছর ধরে কারাবাস করছেন। কারাগার থেকে দ্রুত মুক্তিলাভের আশায় তিনি জল্লাদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন বলে জানা যায়।
এরই মধ্যে, এরশাদ শিকদার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পাঁচ আসামি ও কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে ভূমিকা রেখে তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেছেন। এদিকে, জল্লাদ রাজু প্রায় ১৫ বছর ধরে কারাবাস করছেন।
কারাগারের চারপাশে বাড়তি নিরাপত্তা
সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার হওয়ায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চারপাশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতে গোয়েন্দা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সীমিত করা হয়েছে রাস্তায় যান চলাচল।
ব্যাপক সংখ্যক র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন ভবনের ছাদেও পাহারা দিতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কারাগারের মূল ফটকের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে একটি এপিসি বা সাঁজোয়া যান। এছাড়া দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৫
এনএ/আইএ/এজেডএস/এসজেএ/আইএ
** ‘বাবা বড় সিদ্ধান্ত নিতে কথা বলতে চেয়েছেন’