ঢাকা: আইন অমান্য করে সনাতন প্রযুক্তির চিমনি ব্যবহারের মাধ্যমে সারাদেশে তিন হাজার ৪৪০টি ইটভাটায় ইট উৎপাদন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া ইট তৈরি করছে আরও এক হাজার ৯১১টি ভাটা।
পরিবেশ অধিদফতরের বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০১৪-১৫’তে (আগস্ট পর্যন্ত) এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সারাদেশে মোট ছয় হাজার ৯২৭টি ইটভাটায় উৎপাদন চলছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগে রয়েছে দুই হাজার ৫৯৮টি ভাটা। এছাড়া রাজশাহীতে এক হাজার ৫২০টি, চট্টগ্রামে এক হাজার ৪৩১টি, খুলনায় ৮০৩টি, বরিশালে ৩১০ এবং সিলেট বিভাগে ২৬৫টি ইটভাটা রয়েছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুসারে বর্তমানে সনাতন প্রযুক্তির ১২০ ফুট চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটাতে ইট উৎপাদন নিষিদ্ধ।
কিন্তু অধিদফতরের বার্ষিক এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, সনাতন প্রযুক্তির চিমনির মাধ্যমে তিন হাজার ৪৪০টি ইটভাটায় ইট উৎপাদন হচ্ছে। তবে তিন হাজার ৪৭৪টি ভাটাকে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির চিমনিতে রূপান্তর করা হয়েছে।
সারাদেশে পাঁচ হাজার ২টি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে ইট প্রস্তুত করলেও আরও এক হাজার ৯১১টি ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৬৯টি, চট্টগ্রামে ৫৪৭টি, খুলনায় ৩৩৬টি, রাজশাহীতে ২৮৪টি, বরিশালে ৬৮টি ও সিলেট বিভাগে ৭টি ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০১৪ সালের ৩০ জুন থেকে দেশের ইটভাটাগুলোতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে বর্তমানে (আগস্ট-২০১৫) ৫০ শতাংশ ইটভাটাকে আধুনিক প্রযুক্তির চিমনি ব্যবহারের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ইটভাটাগুলোকেও পরিবেশবান্ধন করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বার্ষিক এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইটভাটা থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত পরিবেশগত ছাড়পত্র ও নবায়ন না থাকায় ১১২টি ইটভাটাকে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
টিএইচ/আইএ