ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিকেল ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখনই জনগণ কিছু পায়। এদেশের মানুষের উন্নতি হয়। বর্তমানে দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। কমেছে হতদরিদ্রের হারও। অন্যদিকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৭-এ উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রর রিজার্ভ ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে। এছাড়া বার্ষিক বাটেজের ৯০ শতাংশই আমরা নিজেরাই ব্যবস্থা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়েছি। দেশে এখন ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তুলেছি, যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছেই সুস্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ১২৩ ভাগ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবার যাতে উন্নতি ঘটে সরকার সে বিষয়টি দেখছে। আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত ও শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এ জন্য প্রধানমন্ত্রী সবার সহযোগিতা চান।
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে আওয়ামী লীগ সরকারের যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেসব পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারে এবং দেশের প্রতিরক্ষা ও দেশ গড়ার কাজে অবদান রেখে গৌরব বৃদ্ধি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতেও নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা আবারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।
‘এ জন্য আসুন এদেশ আমাদের; এদেশের মাটি আমাদের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫, আপডেট ১৬৪৬
এমইউএম/আইএ