ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো। যে কয়টা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আসলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) মাল্টায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে দুই নেতা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, সন্ত্রাস এবং সহিংসতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। এসব মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে তারা একমত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাস ও সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মোকাবেলায় বিশ্বের সব দেশকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো। যে কয়টা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আসলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ষড়যন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোয় আটকদের বয়ান ও গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা গেছে, এসব ঘটনা স্থানীয় সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে। এগুলোর সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের কোনো যোগসূত্র নেই।
এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারেও বদ্ধপরিকর।
ফিলিপ হ্যামন্ডকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি। জবাবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
জেপি/আরএইচ