ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় নামছে নারী ও শিশুবান্ধব তিন হাজার বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
ঢাকায় নামছে নারী ও শিশুবান্ধব তিন হাজার বাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীতে নারী ও শিশুবান্ধব আধুনিক টিকেটিং পদ্ধতির তিন হাজার নতুন বাস নামানোর জন্য কাজ করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

একইসঙ্গে তার তত্ত্বাবধানে শতাধিক পাবলিক টয়লেটও নির্মাণ করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে নারীর জন্য সংরক্ষিত টয়লেট থাকবে।



বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানী ক্লাব মাঠে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের অনুষ্ঠানে নারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ তথ্য দেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আয়োজিত ‘পলিসি ক্যাফে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন মেয়র।

নারীনেত্রী ফারাহ খানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সালমা খান, যায়েদা ইস্পাহানী, খুশি কবির, হাবিবা প্রমুখ।

বক্তারা নারীর জন্য নিরাপদ নগরী গড়তে মেয়রের উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন। ঢাকায় নারীর নিরাপদ যাতায়াতে বাসগুলোতে অর্ধেক সিট নারীর জন্য বরাদ্দের দাবি জানান। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইভটিজিং বন্ধে রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোকে সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

জবাবে মেয়র আনিসুল হক বলেন, অপরাধ দমনে গুলশান-বনানীসহ বিভিন্ন এলাকা ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাবেলা সিজারের হত্যাকারীদের ধরা সহজ হয়েছে। ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক হাইটেকনিক্যাল আরও এক হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তাতে নারী নির্যাতনসহ সব অপরাধ শনাক্ত করা যাবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে নতুন তিন হাজার বাস নামাবো। যেগুলোতে আধুনিক টিকেটিং পদ্ধতি থাকবে এবং নারী ও শিশুবান্ধব হবে। ইতিমধ্যে একশ’ থেকে সোয়াশ’ পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কাজ চলছে, সেখানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত টয়লেটও থাকবে।

মেয়র বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে পারলে আমার চেয়ে বড় সৌভাগ্যবান আর কেউ হবে না। কারণ আমি মনে করি, এটা আমার ঘরের সমস্যা। নারী আমার মা, আমার বোন, আমার সন্তান। এদের সমস্যায় আমাকেই এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় নারীনেত্রীদের টেকসই এবং ফলপ্রসূ কোনো কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেন আনিসুল হক।  

অ্যাকশনএইড ফেডারেশনের উদ্যোগে সারাবিশ্বের ১৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও ১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন হচ্ছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে ‘বাল্যবিবাহ/শিশু বিবাহ বন্ধ করুন’ এবং জাতীয় পর্যায়ে ‘নারীদের জন্য নিরাপদ নগরী-সার্বজনীক স্থানে যৌন হয়রানি বন্ধ করুন’ শিরোনামে প্রচারাভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এসইউজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।