ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়েতার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মরদেহ উত্তোলনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (জেলা প্রশাসক) অনুরোধ জানিয়েছেন।
হিরোয়ী মিয়েতাকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে মুসলমান পরিচয়ে দাফন করা হয়েছিল। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এ আবেদনের শুনানি শেষে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন সিএমএম শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত।
জাপানি নাগরিক হিরোয়ি মিয়েতা রাজধানীর উত্তরার সিটি হোমস ডরমিটরিতে থাকতেন। জাপান থেকে বাংলাদেশে আসা নাগরিকদের গাইড হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে তখন থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশেই ছিলেন হিরোয়ি মিয়েতা।
জাপান থেকে হিরোয়ি মিয়াতার মা টেলিফোনে মেয়ের খোঁজখবর রাখতেন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পেলে মিয়েতার মা বিষয়টি ঢাকায় জাপান দূতাবাসকে অবহিত করেন। জাপান দূতাবাসের পক্ষে ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাৎসুনা উত্তরা পূর্ব থানায় ১৯ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ জিডির প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে মুসলমান পরিচয়ে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে কবর দেয়। হিরোয়ি মিয়েতার কবরের সন্ধান পাওয়ার পর গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটির পাঁচ আসামি মারুফ, রাশেদ, ফখরুল, জাকির পাটোয়ারী ও ডা. বিমল চন্দ্র শীলকে গ্রেফতারের পর চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সোমবার গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদের হাজির করে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী সাহা চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এমআই/এএসআর