ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে শিশু সাঈদ হত্যার যুক্তি-তর্ক রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
সিলেটে শিশু সাঈদ হত্যার যুক্তি-তর্ক রোববার আবু সাঈদ

সিলেট: সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার যুক্তি-তর্ক রোববার (২৯ নভেম্বর) ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।



সাক্ষ্য নেওয়া শেষে ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা তথা আসামিদের মতামত নেওয়া শেষে যুক্তি-তর্কের দিন ধার্য করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ।

বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মাসুদ, চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোশাররফ হোসেন ও কনস্টেবল দিলোয়ার হোসেন।

ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) সাক্ষ্য শেষে ৩৪২ ধারায় আসামিদের সাক্ষ্য পরীক্ষা হয়।

তিনি বলেন, গত ১৭ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই শেষ হতে যাচ্ছে বিচার কাজ।

চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝরনার পাড় সুনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
 
২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম।

অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
এনইউ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।