কক্সবাজার থেকে: একের পর এক বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। সামনে বিশাল সমুদ্র।
স্বপ্নের মতো মনে হলেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের রাতের দৃশ্য এমনই। যা প্রকৃতিপ্রেমীদের বারবার টেনে নিয়ে আসে সমুদ্রের কাছে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যরাতেও পাওয়া যায় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতে। আরও একটু কাছ থেকে সমুদ্রের ঢেউ স্পর্শ করতে কেউবা সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে দাঁড়ান। নীল জ্যোৎস্নায় সমুদ্রের পানি ষোড়শির সুনয়নে পরিণত হয়। কেবল তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছে করে। আর যদি হয় নবদম্পতি তাহলে তো কথাই নেই। হাতে হাত রেখে তখন তারা দেখে নিতে পারেন রাতের সমুদ্রের এ স্বর্গীয় রূপ।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে কথা হয় এমনই এক দম্পতির সঙ্গে। কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমেদ ও সাবিহা নূর দম্পতি বিয়ে করেছেন দুই মাস হলো।
মধু চন্দ্রিমায় সমুদ্র দেবীর এমন রূপ দেখে উচ্ছ্বসিত সাবিহা বলেন, মানুষ শুধু শুধু দেশের বাইরে ঘুরতে যায়। বাংলাদেশের মতো এতো সুন্দর দৃশ্য আর কোথাও দেখা যাবে বলে আমার মনে হয় না।
জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমি এর আগেও কক্সবাজার এসেছি। কিন্তু এভাবে চাঁদনী রাতে সমুদ্র দেখার সুযোগ কখনো মেলেনি। তাছাড়া পাশে রয়েছে আমার অর্ধাঙ্গিনী, বলেই হেসে ওঠেন।
তবে রাতে সমুদ্রের পানিতে নামার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা জানান, জোয়ার-ভাটার পার্থক্য অনেক সময় পর্যটকরা বুঝতে পারেন না। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা বরাবরই রাতে সমুদ্রে না নামার পরামর্শ দিই।
এ সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তাও আগের তুলনায় জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। যার ফলে পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
ইউএম/আরএম
** আকাশে উড়লো ইউএস বাংলার সাফল্যের ফানুস
** সূর্যের সঙ্গে মেঘের মিতালি