ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাহানশার গুহায় পরীর স্মৃতি

আসাদ জামান ও উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
শাহানশার গুহায় পরীর স্মৃতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার থেকে: কুমিরের মুখাকৃতির সদর দরজা। একের পর এক পর্যটক এগিয়ে চলেছেন দুই পাহাড়ের মধ্যদিয়ে।

উদ্দেশ্য শাহানশার গুহা, যেখানে মিশে আছে শাহানশা আর পরীর প্রেম কাহিনী।

কথিত আছে, শত বছর আগে শাহানশা নামে এক বণিক সর্বস্বান্ত হয়ে এই গুহায় আশ্রয় নেন। নিঃসঙ্গ দিন কাটতে থাকে শাহানশার। এক সময় পরিচয় হয় স্থানীয় পরী নামের এক মেয়ের সঙ্গে। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রণয়।

তারপর বাকি জীবন শাহানশা আর পরীর কেটে যায় এই গুহায়। সেখান থেকেই এ গুহার নাম হয় শাহানশার গুহা।

দুই পাহাড়ের মধ্যদিয়ে শাহানশার গুহার পথে এগিয়ে যেতে প্রথমেই দেখা মিলবে চেরাংঘরের। চেরাং একটি রাখাইন শব্দ। যার অর্থ বিশ্রাম। আর চেরাং ঘর অর্থ বিশ্রামাগার। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এখানেই বিশ্রাম নেন পর্যটকরা।

চেরাংঘর পার হলেই পড়বে বাঁশের সাঁকো। দু’পাশের পাহাড় আর গাছ-গাছালিতে চোখ আটকে যায় পর্যটকদের।

গুহারেরর ভেতরের হিম শীতল পানি ভ্রমণপিয়াসুদের বাড়তি পাওয়া। শাহানশার গুহায় দেখায় মিলবে অপূর্ব সুন্দর ঝরনার। বর্ষায় ঝরনার পূর্ণ রূপে মোহিত হন পর্যটকরা। শীতে পানি কিছুটা কমে এলেও পর্যকদের আগ্রহ কমে না।

কথা হয় এমনই এক পর্যটকের সঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ বলেন, কক্সবাজারে এসেই শাহানশার গুহার নাম শুনেছি। শুনেছি শাহানশাহ আর পরীর প্রেমের কথা। তাই দেখতে এলাম। ঝরনায় তেমন পানির স্রোত নেই। থাকলে ভালো আরও ভালো লাগতো।

কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন গড়ে হাজার খানেক মানুষ শাহানশার গুহা দেখতে আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
ইউএম/এএ

** শামুক-ঝিনুকে গড়া স্বপ্নকথন
** সমুদ্র পাড়ের নীল জ্যোৎস্নায় অবগাহন
** আকাশে উড়লো ইউএস বাংলার সাফল্যের ফানুস
** সূর্যের সঙ্গে মেঘের মিতালি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।