ঢাকা: প্রযুক্তিগতভাবে আরো শক্তিশালী হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মোবাইল ট্র্যাকার মেশিন কেনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রত্যেকটি ব্যাটেলিয়ানের জন্য একটি করে মোট ১৪টি ট্র্যাকার মেশিন কেনার আবেদন জানিয়ে গত ১৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে র্যাব সদর দফতর।
র্যাব সদর দফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, র্যাব সদর দফতরে মোট দু’টি মোবাইল ট্র্যাকার মেশিন রয়েছে।
সম্প্রতি মোবাইল ফোন ব্যবহারে হত্যার হুমকি, চাঁদা দাবিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েই চলছে। এসব অপরাধ দমনে রাজধানীসহ সারা দেশের ১৪ ব্যাটেলিয়ানের জন্য মোবাইল ট্র্যাকার মেশিন কেনার একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন র্যাব সদর দফতরের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসাইন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন সন্ত্রাসীরা। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্রটি আরো জানায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে র্যাব প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী একটি বাহিনী। যেকোনো অপরাধের ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে র্যাব।
প্রযুক্তিগতভাবে আরো শক্তিশালী হতে প্রত্যেকটি ব্যাটেলিয়ানের জন্য মোবাইল ট্র্যাকার মেশিন কিনতে চাই র্যাব।
র্যাব সদর দফতরের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. মোফাজ্জাল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ১৪টি ব্যাটেলিয়ানের জন্য মোট ১৪টি মোবাইল ট্র্যাকার মেশিন কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য নিতে রাজি হননি তিনি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, র্যাবের ইকুইপমেন্ট ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখে। আমার কোনো ধারণা নেই। আমি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এনএ/এএসআর
** ক্লোন হ্যান্ডসেট ও আইএমইআই নম্বর নিয়ে বিপাকে পুলিশ