ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এগোচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এগোচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

ঢাকা:  দ্রুত এগিয়ে চলেছে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগের আরেকটি বড় প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এ সেতুর কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালে।

এরপরই এটি চালু হলে বিমানবন্দর থেকে মাত্র মিনিট বিশেকে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রাবাড়ীতে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক কাজী মো. ফেরদৌস আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে বিমানবন্দর সড়কের কাওলা এলাকায় পাইল ডাইভিং এর কাজ চলছে। এরপর পাইল বসানো শুরু হবে।

এ প্রকল্পের কাজের ১০ শতাংশেরও বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প পরিচালক জানান, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তারা কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। এ প্রকল্পে সরকারের গুরুত্ব থাকায় অর্থায়নে কোনো সমস্য নেই। জমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রকল্প অনুযায়ী, ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এ উড়াল সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় এ প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। বাকিটা সহযোগিতা করছে ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। বেশিরভাগ অংশ রেললাইনের ওপর দিয়ে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, যানজট মোকাবেলায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর দূরের স্বপ্ন নয়। প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান। মূল সড়কগুলোতে যখন এর কাজ চলবে তখন জনগণের সাময়িক দুর্ভোগ হতে পারে। তবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সুবিন্যস্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

২০১৮-১৯ সালে বা তারও আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এ প্রকল্পের রুট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কুড়িল-বনানী-মহাখালী- তেঁজগাও-মগবাজার- কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত যাবে। যার বেশিরভাগ অংশই বিমানবন্দর থেকে মহাখালী-মগবাজার পর্যন্ত রেললাইনের ওপরেই থাকছে। এর মধ্যে ৩১টি র‌্যাম্প থাকার কথা।

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি হয় এবং একই বছরের ৪ এপ্রিল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তবে নকশা পরিবর্তন ও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে সেতু বিভাগ।

নির্মাণকাজ শুরুর জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের জুনে দুই দফা সময় রাখা হলেও আগস্টের মাঝামাঝি এসে কাজ শুরু হয়।

প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় পর্যায়ে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ পর্যায়ে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।