মুন্সীগঞ্জ (লৌহজং) থেকে: ‘ঈদ গেছে সেই কবে। আর শোকের মাস আগষ্টও গত হয়েছে প্রায় তিন মাস।
কারণ পোস্টার আর বিলবোর্ডগুলোতে বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীর যে ছবিগুলো ছিলো তা পড়ছে খুলে খুলে। সেটাই অবমাননার। এগুলো যাতে প্রকল্প এলাকায় আর না দেখি।
এই বলে পদ্মার দুই পাড়ের দলীয় নেতাদের সর্তক করলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর এসব নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ সভার একটি অংশ দুই পাড়েই নষ্ট করলেন তিনি।
তবে পদ্মার জাজিরা পয়েন্টে মন্ত্রীর এই বক্তব্য নতমুখে নেতারা মেনে নিলেও লৌহজং পয়েন্ট সরব ছিলেন দলটির নেতারা।
তাদের যুক্তি পোস্টার না থাকলে তো অন্যদলের নেতাদের পোস্টারে জায়গা দখল হয়ে যায়। কারণ তাদের অনেক টাকা।
তবে নেতাদের এই যুক্তি মেনে নেননি মন্ত্রী। বেশ বিরক্ত গলায় বলে চলেন, এখন সুখরঞ্জন সরকার, এমিলি সবাইকে নিয়েই এই পোস্টারের বাহার। নেতারা হয়তো জানেন-ও না। আমি মুন্সীগঞ্জে শুনেছি। এক নেতার সঙ্গে ৩৭ নেতাকর্মীর ছবি। তারা সবাই নেতা হতে চায়। বোঝাতে চায় আমাদের নেতা উনি আর আমরাও কম নই। আসলে কেবল মুন্সীগঞ্জ নয়। মানিকগঞ্জে-ও এই অবস্থা। দুটি জেলাই এখন পোস্টার আর ব্যানারের জেলা।
ঠিক আছে। আপনার পোস্টার দেন। বেশি বেশি করেই দেন। কিন্তু ঈদ তো এখন নেই। শোকের মাস-ও গত হয়েছে কবে। সেগুলো সরিয়ে নিন। নেতাদের প্রতি আহ্বান মন্ত্রীর।
তবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর পাইলিং উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী যখন আসবেন তখন কোনো নেতার ছবি নয়। থাকবে কেবল দু’জনের ছবি। একজন প্রয়াত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যজন জীবিত নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হ্যাঁ, সেই জনসভায় যত পারেন পোস্টার,ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে আসুন। বাঁধা দেবো না। আসলে আমরা প্রমাণ করতে চাই, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল দল--- বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এসআই/জেডআর/এসএ/এইচএ/এমএমকে/এসএইচ