ঢাকা: রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, বান্দরবান, সাভার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বগুড়া এবং টাঙ্গাইল জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়।
শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যায় বগুড়া শেরপুর উপজেলার দশমাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গাড়ীদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন (৬৫) মারা গেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংচা এলাকায় ট্রাক খাদে পড়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজিব (৪৫), রবিন (৩৫), আফতাব হোসেন (৫৫), আমজাদ হোসেন (৪৬), আলেক রহমান (৩২), সাইদ (৩০) ও হাসান আলী (৩৫)।
আহতদের মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীর মাহবুবুল প্রামাণিকের ছেলে আশা প্রামাণিক, কাওসার গাজী, সদর উপজেলার হামিদপুরের একই এলাকার আবু সাইদের ছেলে মিঠু হাসান এবং সাতক্ষীরা দেবহাটা নজরুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, আলঅউদ্দিনের ছেলে মাসুমের পরিচয় জানা গেছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সরাতৈল এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
সকাল ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা সাহেবগঞ্জ বাজারে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে ট্রাক চাপা দিলে অপূর্ব (৩৮) নামে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাকের এক কর্মীর মৃত্যু হয়।
অপূর্ব রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার আরকান্দি গ্রামের মৃত অদিত্য দাসের ছেলে। তিনি ব্র্যাক সলঙ্গা থানার পাঁচলিয়া বাজার শাখায় কর্মসূচি সংগঠক পদে কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে সকাল ১০টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বোর্ড এলাকায় একটি যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গেলে ফরিদপুর জেলা সদরের ডাঙ্গী গ্রামের আহম্মদ মুন্সির ছেলে মাহেন্দ্র চালক বিল্লাল ফকির (৩৫) এবং একই এলাকার আব্দুল খালেকের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০) মারা যান।
এসময় আব্দুল খালেকও (৬৫) গুরতর আহত হন। তিনি গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজধানী ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে স্টাফ বাসের ধাক্কায় রানা (১৭) নামে এক কিশোর মারা গেছেন। এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কাপ্তান বাজারে পাখির দোকানের কর্মচারী রানা দক্ষিণ কাজলার নয়ানগর এলাকায় বসবাস করতেন। তার বাবার নাম মো. সাহাব উদ্দিন। সকাল ১০টার দিকে দোকানে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
একই সময় সাভার এবং কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সাভারের আশুলিয়ার কলমা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও বালু বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইবাদত মন্ডল ও শহিদুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গোকর্ণ রোড এলাকায় ট্রাকচাপায় তাহমিনা আক্তার রুমি (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল তাহমিনা। এ সময় একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (৪৫) ও একই উপজেলার প্রেমু গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়ার (৩২) মৃত্যু হয়।
এছাড়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক্টর চালক ও এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এরা হলেন-উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আসলাম মিয়ার ছেলে ট্রাক্টর চালক দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও উপজেলার পৌর এলাকার দক্ষিণ নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত জনু আলীর স্ত্রী নুর ভানু বেগম (৭৫)।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বাংলানিউজকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫ আপডেট সময়: ২০২৬ ঘণ্টা.
এটি
** বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় সাবেক ইউপি সদস্য নিহত
** ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
** লামায় ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৭
** সাভারে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
** চান্দিনায় বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
** গোয়ালন্দে মাহেন্দ্র খালে পড়ে চালকসহ নিহত ২
** সলঙ্গায় ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মী নিহত
** রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় কিশোর নিহত
** ভূঞাপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিহত ২
** চৌদ্দগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত