ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি’র দ্বিতীয় তলার টয়লেটে ঢুকে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ঢাবি’র এক ছাত্রী। উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে।
ওই ছাত্রীর শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি ঢাবি’র ফার্সি ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তার চিৎকার শুনে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী টয়লেটের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।
বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ।
তিনি বলেন, ওই ছাত্রী টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা তার চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। তারা টয়লেটের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়।
এটা আসলেই আত্মহত্যার চেষ্টা, নাকি অন্যকিছু- এমন প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। তাই এটা আত্মহত্যার চেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওই ছাত্রীর গায়ের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে তারা জানিয়েছেন। তবে তার শ্বাসনালী অক্ষত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫/আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা
এজেডএস/এসএ/আরএম