শেরপুর: শেরপুরে স্কুলছাত্র শিশু আরাফাত ইসলাম রাহাতকে (৮) অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ বাদল রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
নিহত রাহাতের ডিএনএ, ভিসেরা রিপোর্টসহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে প্রায় সাড়ে তিন মাস লেগে যায়। ঘটনার পর ৪ মাসের মাথায় তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে পুলিশ এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জশিট দেয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার বয়ড়াপরাণপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে নিহত রাহাতের খালু আবদুল লতিফ (২২), একই গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইমরান হাসান এবং সদর উপজেলার চরশেরপুরের আব্দুল হাকিমের ছেলে আসলাম বাবু।
মামলায় অভিযুক্ত আসলামের মা জাহেদা ওরফে আবেদা বেগমকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ৪ জনই জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
চলতি বছরের ২ আগস্ট দুপুরে শহরের বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত ইসলাম রাহাতকে তার আপন খালু আব্দুল লতিফ ও তার অপর তিন সহযোগী অপহরণ করেন। পরে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ ঘটনায় ৪ আগস্ট অপহৃত শিশু রাহাতের বাবা শহিদুল ইসলাম খোকন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ আসামি এবং আসামি আসলামের মা আবেদা বেগমকে গ্রেফতার করে। আসামি আসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং তার দেখিয়ে দেওয়া নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের কাছে মাজারের টিলা থেকে ৮ আগস্ট দুপুরে শিশু রাহাতের দেহাবশেষ, পরনের শার্ট ও প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাহাত শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকার আসবাবপত্র ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও রিনা বেগম দম্পতির ছেলে। অভিযুক্ত ৪ আসামিই আদালতে অপহরণ পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে রাহাত হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের ফাঁসির দাবি করেছেন শিশুটির বাবা-মাসহ স্বজনরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
আরএ