ঢাকা: গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, হামলা ও হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল এ উদ্বেগ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অলোক সেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলায় মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন ইমামসহ তিনজন।
সর্বশেষ ঘটনায় খুলনায় দু’জন খ্রিস্টান ধর্মযাজককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ঘটনাগুলোর মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
‘ফরিদপুরে অলোক সেনের ওপর হামলার ঘটনার আগে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতাদের নানা সময় হুমকি দেওয়া হয়েছে। বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলার মাত্র মাসখানেক আগে ঢাকায় হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড হামলায় দু’জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক। দেশের অন্যান্য স্থানে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের ওপর হামলা হয়েছে, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতকারীর হামলায় একাধিক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন। ’
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, এসব হামলার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ কিংবা ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’ দাবি করা সত্ত্বেও একের পর এক হামলা ও হুমকির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে।
‘সরকারের প্রতি আমাদের দাবি, অস্বীকার বা দোষারোপের চেষ্টা বাদ দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এর মাধ্যমেই কেবল জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব আর আস্থা অর্জন করা গেলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করাও সম্ভব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এমএ/