মেহেরপুর: জেলার সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রমজান শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের শশ্মানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রমজান শেখ রাজনগর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে এবং সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন।
পুলিশ জানায়, সদর থানা পুলিশের একটি দল রমজান শেখকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে শশ্মানঘাট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যও আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহুল, কনস্টেবল শাহীন, মিনহাজ ও আশরাফুল।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি শার্টারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বাংলানিউজকে জানান, রোববার দিনগত রাত সাড়ে আটটার দিকে রমজান শেখকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে শশ্মানঘাট এলাকায় যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে অবস্থানরত রমজান শেখের সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন রমজান শেখ। পরে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আবু এহসান মো. রাজু তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালে রাজনগরে ৠাব সদস্যদের মারধর করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলাসহ রমজান শেখের বিরুদ্ধে সদর থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
নিহতের মরদেহ রাতেই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান আহসান হাবীব।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫/আপডেট:০৯৩৮
আরএইচ/আরএ