ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ২৭ শতাংশ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ২৭ শতাংশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পদ্মাপাড় (মাওয়া ও জাজিরা) ঘুরে এসে: স্বপ্নের খোঁসা ছেড়ে শত বছরের আয়ু নিয়ে জন্ম নিচ্ছে পদ্মা সেতু। নদীর বাঁকে বাঁকে চলছে সেতুর কর্মযজ্ঞ।

শীতের শান্ত স্রোত কাজের কোলাহলে হয়ে উঠছে উত্তাল। ঢেউ মাড়িয়ে যতোটা পথ এগোনো যায়, ততোটাই চোখে পড়ে সেতু গড়ে তোলার মহোৎসব ।

দু’পাশে চলছে মাটি পরীক্ষা। কারখানা থেকে বের হচ্ছে পাইল। নদী শাসনের জন্য ব্লক পড়ছে নদী তীরে। মূল সেতুর পাইলিংয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে হ্যামার আর পদ্মার বুকে ভাসছে সেতুর কাজের জন্য শতাধিক ক্রেন।

সবমিলিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে নদী শাসন কাজের অগ্রগতি প্রায় ১৪ শতাংশ, বাকি ১৩ শতাংশ অগ্রগতি মূল সেতুর। এ তথ্য জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

পাঁচটি প্রধান প্যাকেজে ভাগ করে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কাজ ১৫০ কোটি ডলার (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে মূল সেতু নির্মাণ। আর ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে নদী শাসন। সঙ্গে রয়েছে তিনটি অপেক্ষাকৃত ছোট প্রকল্প। যার মধ্যে অন্যতম অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ। মাওয়া অংশে কেবলই সড়ক, তবে জাজিরা অংশে রয়েছে সড়কের পাশাপাশি আরও অন্তত পাঁচটি সেতু নির্মাণের কাজ।

পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত চায়না মেজর ব্রিজ প্রকৌশলীদের ধারণা, এখন পর্যন্ত তারা যে গতিতে এগুচ্ছেন তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করবেন সেতুর কাজ।

তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- পদ্মার গভীরে হ্যামার দিয়ে পাইল নিয়ে যাওয়া এবং এর পর পিলার গড়ে তোলা।

৪২টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে ছয় কিলোমিটারের বেশি লম্বা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেতু। এছাড়া দেড় কিলোমিটার করে উভয়পাড়ে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর জন্য আরও ২৪টি পিলার হবে।

সেতুর ৪২টি পিলারে ছয়টি করে ২৪০টি এবং দুপারের ১২টিতে দু’টি করে ২৪টি পাইল বসাতে হবে। সর্বমোট ২৬৪টি পাইল বসবে। সেই চ্যালেঞ্জিং কাজ পাইল ড্রাইভিংয়ে সূচনা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
padma_bridge_02
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নপূরণের এই সেতুর খোঁজ তিনি প্রতিনিয়ত রাখছেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর দুই পারে ১৬০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প রেলপথ মন্ত্রণালয়ের। এ কাজটি করবে চায়না কোম্পানি। রেল ভবনে এজন্য ছয় সদস্যের একটি টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে।

সরকারের হিসাবে, শুধু যোগাযোগেই নয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সেতুটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি এক দশমিক দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ওই অঞ্চলের মানুষের আয় এক দশমিক চার শতাংশ বাড়বে। আর সাত লাখ ৪৩ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেতুর কাজ এখন মাইল ফলকে এসে দাঁড়িয়েছে। বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী সেই মাইলফলকের উন্মোচন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআই/এইচআর/এসএ/এইচএ/এমএমকে/আরএইচ

** কর্মযজ্ঞের অনুমান করা কঠিন
** পদ্মাপাড়ে থরে থরে ব্লকের টিলা!
** কারখানায় তৈরি হয়ে শত শত পাইল নামছে নদীতে
** মন্ত্রীর চোখে জল!
** ভেতরে সদলবলে
** মন্ত্রীর না!
** পোস্টার আর ব্যানারে যত আপত্তি!
** মন্ত্রীর মুগ্ধতা
** পদ্মাপাড়ে চলছে প্রস্তুতি সভা
** ১৭৯তম বার পদ্মাপাড়ে মন্ত্রী
** পদ্মাপাড়ে বাংলানিউজ টিম
** কুয়াশার ভোর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।