ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌর নির্বাচন

মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে ৫ লাখ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে ৫ লাখ

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে পারবেন মেয়র প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ ব্যয় হবে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা।

তবে কথা হলো সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ভোটার সংখ্যা হতে হবে এক লাখের বেশি।
 
প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় বিষয়ে অবহিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।   এতে প্রার্থীদের ব্যয়ের সীমা ও হিসাব দাখিলের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব সামসুল আলম।
 
এতে নির্বাচনী ব্যয় বলতে প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থকে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম, জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থও নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে গণ্য হবে।
 
এক্ষেত্রে মেয়র প্রার্থী পঁচিশ হাজার ভোটারের পৌরসভার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, পঁচিশ হাজার এক থেকে পঞ্চাশ হাজার ভোটারের এলাকা হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ, পঞ্চাশ হাজার এক থেকে এক লাখ ভোটারের এলাকার জন্য ৪ লাখ টাকা ও এক লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার ব্যয় করতে পারবেন।
 
আর ব্যক্তিগত খরচ বাবদ মেয়র প্রার্থীরা পঁচিশ হাজার ভোটারের এলাকার জন্য ১০ হাজার টাকা, পঁচিশ হাজার এক থেকে পঞ্চাশ হাজার ভোটারের এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, পঞ্চাশ হাজার এক থেকে এক লাখ ভোটার এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা ও এক লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার ব্যয় করতে পারবেন।
 
এদিকে, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ভোটার এলাকা বা ওয়ার্ডের জন্য ব্যক্তিগত খরচ ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ ৫০ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার এক থেকে দশ হাজার ভোটার এলাকার জন্য ব্যক্তিগত ৭ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি।
 
তারপর দশ হাজার এক থেকে বিশ হাজার ভোটার এলাকার জন্য ব্যক্তিগত খরচ ১০ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিশ হাজারের বেশি ভোটারের এলাকার জন্য ব্যক্তিগত খরচ ১৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
 
এই ব্যয় তফসিলি ব্যাংকের নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট থেকে করতে হবে। তবে প্রার্থী নিজে নির্বাচনী এজেন্ট হলে ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া অন্যান্য ব্যয় দাখিল করতে হবে।

এদিকে, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হিসাব দাখিল করতে হবে সব প্রার্থীকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের হিসাব থাকবে হবে।
 
এ বিষয়ে উপ-সচিব সামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইসির নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য তা প্রার্থীদের অবহিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রার্থীদের অবহিত করবেন।
 
নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ব্যয় সংক্রান্ত নির্দেশনা না মানলে নির্বাচিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে ইসি।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথমবারের মতো দেশে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়প্রতীকে ভোট হবে। এক্ষেত্রে মেয়র পদেই কেবল দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। কাউন্সিলর ও সংরিক্ষত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয় নির্বাচন থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
ইইউডি/আরএম/আইএ

** ফ্রক, পুতুল, চুড়িও নারী প্রার্থীদের প্রতীক!

** গোপন চাঁদা বন্ধ করতে ৪ মন্ত্রণালয়ে ইসির নির্দেশনা
** প্রার্থী যেই হোক তার পক্ষেই অবস্থান নেবে ইসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।