ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় আটজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে, কামরুজ্জামান (৩৫); তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকায় আসেন। কিন্তু এ যাত্রায় তার আর যাওয়া হলো না।
রাজধানীর ফকিরাপুল কাঁচাবাজারের সামনের সড়ক থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো- শাহীন (৪০); সিএনজি চালক। কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালীউল্লাহ তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন। ঘটনার পর তার সিএনজি আর পাওয়া যাচ্ছে না।
তৃতীয় ঘটনা- গুলিস্তান ফুলবাড়িয়ায় ফয়েজ (৪০) নামে এক ব্যক্তি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পথচারী ফরহাদ ঢামেকে নিয়ে আসেন তাকে।
চতুর্থ ঘটনা- সতেন বিশ্বাসের (২৪); তাকে ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। তার কাছ থেকে ৩৫শ’ টাকা খোয়া যায়।
পঞ্চম ঘটনা- নুরুন নবীর (৬৫); তিনি রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ পাগলায় তার বাসা। সকালে ছেলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পরে গুলিস্তান থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নুরুন নবীর ছেলে ফরিদ বাংলানিউজকে জানান, ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছিল তার বাবার কাছে, যা খোয়া গেছে।
ষষ্ঠ ঘটনা- আবু বকরের (৪২)। তাকে ফুলবাড়িয়া সিটি করপোরেশনের সামনের অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়। তার মোবাইল খোয়া গেছে।
সপ্তম ঘটনা- শ্রমিক মানিক মন্ডলকে (৩২) উদ্ধার করা হয়েছে গুলিস্তান থেকে।
অষ্টম ঘটনা- শিক্ষক আনিসুর রহমানের (৫০)। তিনি রাজধানীর শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের গণিতের শিক্ষক। তাকে মোহাম্মদপুর বসিল্লা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঢামেক নতুন ভবনের সপ্তম তলার ইউনিট-৫’র সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আল-আমিন বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। বিভিন্নভাবে তাদের অচেতন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এজেডএস/আইএ