ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে দলীয় মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক নিয়েই প্রচারণায় যেতে পারবেন।
নির্বাচন আচরণবিধিমালার পাঁচ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে- কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত/স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি-সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠান ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ৩০ ডিসেম্বর দিনটি গণনা করতে হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন। সে অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন থেকে আগের ৩ সপ্তাহ সময় বলতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১০ তারিখ আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
আর প্রচারণা বন্ধ করতে হবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর আর প্রচারণা চালানো যাবে না বলে জানান সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন।
তফসিল অনুসারে, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। আর প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এক্ষেত্রে বাছাইয়ের পর ১০ ডিসেম্বর থেকে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়েই প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় যেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও চারদিন। এ সময় তারা প্রতীক না পেলেও জনসংযোগের মতো প্রচারণা চালাতে পারবেন।
দেশের নির্বাচন উপযোগী ২৩৫টি পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৩৫টি মেয়র, ৭৪২টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ ও ২৯৬১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে মেয়র পদে দলীয়ভাবে এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোট নেবে ইসি।
নির্বাচনে প্রায় ৩ হাজার ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। পুরুষ ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করবেন ৬১ হাজার ১৪৩ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
ইইউডি/আইএ
** ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ