ঢাকা: শুক্রবার জুমার নামাজের সময় রাজধানীসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মসজিদে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ইসলামিক চিন্তাবিদদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ইমামরা তাদের বক্তব্য ও খুতবায় জঙ্গিদের নিয়ে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে জুমার নামাজের সময় শহরগুলোর প্রতিটি মসজিদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে।
শহীদুল হক বলেন, সরকার ইসলাম বিরোধী নয়। তরুণ যুবকদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা ইসলামবিরোধী প্রচারণা
চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রকৃত আলেম-ওলামাদের মিডিয়ায় ইসলামী বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কওমি ও আলিয়া মাদরাসার সরকারি সনদ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সরকারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।
ইসলামী চিন্তাবিদদের পিস টিভি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানানো হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আপনারা পিস টিভি বন্ধের যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করুন। কারণ যৌক্তিক বিবেচিত হলে সরকার পিস টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইসলামী ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর গোলাম মাওলা নকশবন্দী বলেন, যারা জঙ্গিবাদে যুক্ত তারা গোপনে বোমা মেরে এসব করেছে। মসজিদের ইমামদের খুতবা রেকর্ড করা ও ইমামদের নামের তালিকা করা উচিত। যাতে সরকারবিরোধী বক্তব্য ও প্রচারণা না করতে পারে।
আহলে সুন্নত আল জামাতের সভাপতি সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেরী বলেন, ইহুদি ও মার্কিনদের সঙ্গে আইএস এর সম্পর্ক রয়েছে। এদের মাধ্যমেই তারা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায়। কওমি ও আলিয়া মাদরাসার মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। এদের সম্পর্কে সঠিক তদারকি প্রয়োজন।
এসময় ইসলামিক চিন্তাবিদরা যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদীদের ফাঁসির দাবি জানালে প্রতিউত্তরে আইজিপি বলেন, এ দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। মামলার রায় প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়া শেষ হলেই এ রায় কার্যকর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫
এনএ/এসজেএ/জেডএফ/এএ