বগুড়া: বগুড়া শহরের ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমানকে (৯) অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে আরেক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র জোবাইর আহম্মেদ পাপ্পু (১৫)।
পরে জনতা অপহরণের বিষয়টি টের পেয়ে অপহরণকারী জোবাইর আহম্মেদসহ আরও দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্র আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত স্কুল ছাত্র শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া চকপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
অপরহরণকারীরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জোবাইর আহম্মেদ পাপ্পু (১৫), জালশুকা গ্রামের মোজাফফর রহমানের ছেলে বগুড়া সরকারি শাহসুলতান কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র রিপন বাবু (১৯) ও বগুড়া সদরের জিগাতলা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৮)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা ভাড়া করে ওয়াইএমসিএ স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। স্কুল ছুটির পর বাসায় যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় আব্দুর রহমান। এসময় অপহরণকারী অটোরিকশা চালক তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তুলে নেয়। কিছু দুর যাওয়ার পর অপহরণকারী জোবাইর ও রিপন উক্ত অটোরিকশায় ওঠে।
পরে দুই অপহরণকারী ছুরি ধরে জিম্মি করে আব্দুর রহমানের বাবার কাছে মোবাইল ফোনে অর্ধলাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
এদিকে অপহরণের খবর নিশ্চিত হলে ছেলেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেত থাকেন হায়দার আলী।
বেলা আড়াইটার দিকে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় অটোরিকশাটি পৌঁছুলে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রিকশাসহ তাদের আটক করে। এসময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের ঘটনাটি প্রকাশ হয়। পরে স্থানীয়রা তিন অপহরণকারীকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে গাবতলী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারীদের আটক করে ও স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গাবতলী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, আটকদের কাছ থেকে একটি ছুরি পাওয়া গেছে। অপহৃত স্কুল ছাত্রের বাবা হায়দার আলী থানায় এসেছেন।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এমবিএইচ/ওএইচ/বিএস