ভোলা: কারো গেছে বসতভীটা, কারো ফসলি জমি, কারো বা মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাই। ভয়ঙ্কর মেঘনার ছোবলে অসহায় মানুষ।
ভাঙন আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না এদের, কারণ শীত মৌসুমেও ভেঙে যাচ্ছে মেঘনার তীর। বিলীন হয়ে যাচ্ছে স্থাপনা। তাই মহা সংকটে পড়ে এক দাবিতে একত্রিত হয়েছেন এ এলাকার মানুষ।
মেঘনার ভাঙন থেকে ভোলাকে বাঁচাতে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অবহেলার প্রতিবাদে আমরন গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছেন ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত মানুষ।
ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের আয়োজনে মেঘনা তীরের জংশন বাজারে রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অনশন করেন তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, জিলন খান, সাদ্দাম হোসেন, সাংবাদিক হাসিব রহমান, ইব্রাহিম সুমন, মো. ইমরান, জগির।
বক্তারা বলেন, গত চার মাসে ভয়াবহ ভাঙনে বহু পরিবার গৃহহারা হয়েছেন। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, মৎস্য আড়ৎ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তাই দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা এ গণঅনশন করেছেন।
এদিকে, একই সময়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে পাউবো মহাপরিচালক ইসমাইল হোসেন অনশনকারীদের দাবির মুখে পড়েন। পরে তিনি ইলিশা-রাজাপুর ভাঙন রোধে ৩১০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হলেই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে এলাকাবাসী অনশন ভেঙে ফেলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাউবো দক্ষিণাঞ্চলীয় জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোশারেফ হোসেন, ভোলা পাউবার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
আরএ