পদ্মাপাড়(মাওয়া)থেকে: শনিবার (ডিসেম্বর ১২) মূল পদ্মাসেতুর কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর একটি স্মারক ফলক উন্মোচন করা মাত্রই পদ্মার খরস্রোতা পানি মাড়িয়ে তলদেশে যেতে থাকবে পাইল।
শনিবার সকালে সেই আয়োজনে মেতে উঠবে পদ্মা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওইদিন ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতুর নদীশাসন ও সেতুর নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। ইতোমধ্যেই পদ্মা বহুমুখী মূল সেতুর কাজ ১৬ ভাগ এবং সেতুসহ সংযোগ সড়ক, নদীশাসন সবমিলিয়ে ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন মুখরিত পদ্মাপাড়। নদীর দুই তীরে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দের ঢেউ-উচ্ছাস। মাওয়া থেকে জাজিরার পথ এখন সুশোভিত প্রধানমন্ত্রী আর বঙ্গবন্ধুর শত শত ছবিতে।
শনিবার পদ্মা পাড়ের মাওয়া অংশে একটি এবং জাজিরা অংশে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়া অংশে উদ্বোধন করবেন মূল সেতুর পাইলিং কাজ আর জাজিরায় নদী শাসন কাজের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতির কাজ সরাসরি উপস্থিত থেকে তত্ত্বাবধান করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,‘বিজয়ের মাসে এটি আরেকটি বিজয়। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট। এর কাজ এখন এগিয়ে চলছে। এটা অসীম সাহসিকতার সোনালী ফসল।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট এটি। পদ্মা সেতুর কাজে আমরা শিডিউলের একদিনও পিছিয়ে নেই। আমাদের টার্গেট ২০১৮ এবং ২০১৮-ই।
পদ্মা সেতু ঘুরে প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত সেতুর অগ্রগতি শতকরা ২৭ ভাগ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ১৬ ভাগ।
এ প্রকল্পে আরও তিনটি প্যাকেজ জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ এর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৬০ ভাগ।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা মনে করছেন ২০১৬ সালের মধ্যে এ তিনটি প্যাকেজের কাজ শেষ হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ, চীনের চায়না মেজর ব্রীজ, বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচএসএম পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এসএ/আরআই