জয়পুরহাট: গত তিন মৌসুমের ২৫ কোটি টাকার অবিক্রিত চিনি রেখেই দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে ২০১৫-১৬ মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হবে।
জয়পুরহাট চিনিকলের একাধিক সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৬৫ হাজার মে. টন আখ মাড়াই করে চার হাজার ৮৭৫ মে. টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বিপরীতে চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে শতকরা ৭.৫০ ভাগ।
বিগত মৌসুমে ৮১ হাজার মে. টন আখ মাড়াই করে পাঁচ হাজার ৯৪২ মে. টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল।
এদিকে মূল্য কম, আখের মূল্য সময়মত পরিশোধ না করা ইত্যাদি কারণে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষীরা।
গত মৌসুমে নয় হাজার ৫৩০ একর জমিতে আখ উৎপাদন করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে সাড়ে সাত হাজার একর জমিতে আখ উৎপাদিত হয়েছে। সে হিসেবে গত মৌসুম থেকে এবার ২ হাজার ২০ একর কম জমিতে আখ উৎপাদন হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার আখচাষী ও মিল কর্তৃপক্ষ জানান, মূল্য কম, আখের মূল্য সময়মত পরিশোধ না করা, প্রতিযোগী শষ্যের মূল্য থেকে আখের মূল্য কম হওয়ায় আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষীরা।
এদিকে জয়পুরহাট চিনিকলে উৎপাদিত গত তিন বছরের প্রায় ২৫ কোটি টাকার সাড়ে ৬ হাজার মে. টনেরও বেশি চিনি এখনও অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে গত ২০১১-১২ মৌসুমে উৎপাদিত ১২০ মে. টন, ২০১৩-১৪ মৌসুমে এক হাজার ১৫৮ মে. টন এবং ২০১৪-১৫ মৌসুমে উৎপাদিত পাঁচ হাজার ৪৮৮ মে. টন চিনি রয়েছে।
অবিক্রিত বিপুল পরিমাণ এ চিনি রেখেই প্রায় পাঁচ হাজার মে. টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মিল চালু করায় চলতি মৌসুমে আখের মূল্য পরিশোধ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
এ প্রসঙ্গে জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, চিনি বিক্রি না হলেও চাষীদের সরবরাহকৃত আখের মূল্য পরিশোধে কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
এটি/