ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোটা দুনিয়ায় বাংলাদেশ তার সামর্থ্য জানান দিচ্ছে

মাহমুদ মেনন ও মহিউদ্দিন মাহমুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
গোটা দুনিয়ায় বাংলাদেশ তার সামর্থ্য জানান দিচ্ছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নাওডোবা, শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে: পদ্মাসেতু নির্মাণ করে গোটা দুনিয়ায় বাংলাদেশ তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে। যারা আমাদের অবহেলা, অবজ্ঞা করতে চায় সেসব বিশ্ব শক্তির মুখে চপেটাঘাত পড়বে।

এই সেতু শুধু আমাদের বড় অর্জনই নয়, এটা আমাদের আত্মমর্যাদার বিষয়।

নিজের টাকায় এতোবড় একটা অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি মাইলফলক, ইতিহাস সৃষ্টি করবে।

পদ্মাসেতু নিয়ে পদ্মাপাড়ের মানুষের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা এমনই। পদ্মাপাড়ের মানুষ, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে এসব কথা। তাদের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আশপাশের এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ নাওডোবায় আসেন। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে হাজারো মানুষ জড়ো হয়।

জাজিরার জয়নগরের মোকসেদ আলী খান বাংলানিউজকে বলেন, কত কথা শুনেছি, বিশ্ব ব্যাংকসহ বিদেশি সহযোগিতা ছাড়া পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যাবে না। পদ্মাসেতু সম্ভব নয়, এ নিয়ে কতজন কত কথা বলেছিলো।

তিনি বলেন, যারা এতোদিন বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করেছে, পদ্মাসেতু নির্মিত হলে তাদের মুখে চপেটাঘাত পড়বে। সেদিন বেশি দূরে নয়। পদ্মা সেতু আজ বাস্তব। এখানে এলে বোঝা যায় কি কর্মযজ্ঞ চলছে।

সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা জাজিরার আমিনুল ইসলাম বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পদ্মাসেতু গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটা আমাদের আত্মমর্যাদার বিষয়।

শিবচরের শেখ হাবিবুল্লাহ মেয়াজি বলেন, শেখের বেটি পদ্মাসেতু তৈরি করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশিরাও নিজের টাকায় বড় নির্মাণ কাজ করতে পারে।

রাজবাড়ীর সাইফুল ইসলাম বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু নির্মাণ একটি মাইলফলক, ইতিহাস।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর মতো এতো বড় একটা অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এ ধরনের আরও বড় অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে।

জাজিরার মাঝিকান্দার রাজিউল বলেন, আগে যেখানে আমাদের ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, পদ্মাসেতু হলে আমরা এক ঘণ্টা সোয়া ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা যেতে পারবো। এ সুবিধা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।

ফরিদপুরের তাসনীম আহমেদ বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে পদ্মার এ পারের মানুষ সব দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। সেতু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এসব এলাকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জীবনমান আরও উন্নত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।