ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিএনএফ’র কর্মবিরতি, শাহজালালে পণ্য খালাস বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
সিএনএফ’র কর্মবিরতি, শাহজালালে পণ্য খালাস বন্ধ

ঢাকা: কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন (সিএনএফ) কর্মবিরতি ঘোষণা করায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।



বিকেলে সিএনএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বাংলানিউজকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সের যাত্রী নিরাপত্তা ইস্যুতে গত ৯ ডিসেম্বর থেকেই সিএনএফ এর কোনো প্রতিনিধিদের পণ্য খুঁজে বের করার জন্য ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ক্লায়েন্টদের পণ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো ভাবেই দিতে পারছি না।

এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী সেবা নিশ্চিত করলে তাদের পণ্য ও মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। কিন্তু বিমান এর কোনোটাই করছে না।

তিনি বলেন, অনেকেই বেশি অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন এয়ারলেইন্সে মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসছেন। অথচ তারা তাদের পণ্য নিতে পারছেন না। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভ্যাকসিন বা ওষুধ ও দামি জিনিসপত্র। এগুলো বিমান থেকে নামিয়ে তা এপ্রোনি’তে (রানওয়ে) রাখা হচ্ছে। রোদে পুরে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিমানকতৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

বিমানের জনবল কম থাকায় রানওয়েতে গিয়ে সিএনএফ’র প্রতিনিধিরা ক্লায়েন্টদের পণ্য খুঁজে আনে কিন্তু বিমান এই সহযোগিতাও করছে না। দীর্ঘদিন বিমান লোক নিয়োগের কথা বললেও কোনো নিয়োগ হয়নি।

বিমানের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও লোকবল সংকটের কারণে ইমপোর্টারদের কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পণ্য বা মালামালগুলো রানওয়েতে ফেলে রাখায় এগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

একদিকে ক্লায়েন্টরা সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশন মালিকদের চাপ দেয়, তারা আমাদের চাপ দেয় আর আমরা লোডারদের চাপ দেই কেন পণ্য খালাসে দেরি হচ্ছে। কিন্তু বিমানের লোকজন এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করছে না বলেও জানান তিনি।

শাহজালাল বিমানবন্দরে একদিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকলে কি পরিমান রাজস্ব আয়ে ক্ষতি হয় জানতে চাইলে ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. শহীদুজ্জামান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, একদিন পণ্য খালাশ বন্ধ থাকলে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ে ক্ষতি হয়।

বিমানবন্দরের কার্গো এরিয়াতে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এভাবে বেশ কয়েক দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকলে দেশের রাজস্ব আয় অনেক ক্ষতি হবে।

বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের এয়ার সাইডে কর্তৃপক্ষের পাস ছাড়া সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। তবে বিমানের লোকবল কম থাকায় পণ্য খালাসের জন্য তা খুঁজে বের করার কারণে সিএনএফ’র এর সদস্যদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো। তবে এখন নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বিমানের নীতিগত সমস্যার কারণেই কিছুদিন পর পর পণ্য খালাসে সিএনএফ এর প্রতিনিধিরা কর্ম বিরতিতে যাচ্ছে। এদিকে ভেতরে রানওয়েতে অসংখ্য পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থেকে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের (এপিবিএন) সিনিয়র এসপি আলমগীর হোসেন শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, বিমানের লোকবল সংকটের সমাধান হলে লোডারদের কর্ম বিরতে যাওয়াসহ অনেক সমসার সমাধান সম্ভব হতো। আবার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরো ভালো করা যেতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫/আপডেট ২৩৪২ ঘণ্টা
এসজেএ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।