ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিলুপ্ত ছিটমহল

উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন মঙ্গলবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন মঙ্গলবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর জন্য আরও একটি সুখবর। এসব অঞ্চলে উন্নয়নে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রথমবারের মতো ১৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

ফলে দীর্ঘ ৬৮ বছর পর ছিটমহলবাসীর ভাগ্যে মিলছে উন্নয়ন প্রকল্প।  

‘বিলুপ্ত ছিটমহলসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর(এলজিইডি)।

সোমবার (০৪ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনের একনেক উইং থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবারের (০৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে  একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

একনেক বৈঠকের কাযর্তালিকায় প্রকল্পটি তিন নম্বরে রাখা হয়েছে।

এলজিইডি সূত্র জানায়, এটি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সার্বিকভাবে প্রকল্পটির দেখভাল করবে। ২০১৬ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এলজিইডি।

বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় কমানো, কৃষি এবং অ-কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুবিধাদি বাড়ানো হবে।

গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাও প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
 
চারটি জেলার ১২টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সেগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ, বোদা ও সদর, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি, ভুরুঙ্গামারি, চিলমারি, সদর, রাজিবপুর ও রৌমারি উপজেলা, নীলফামারি জেলার ডিমলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, সদর ও পাটগ্রাম।
 
প্রকল্পের আওতায় বিলুপ্ত ছিটগুলোতে একগুচ্ছ কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। কার্যক্রমগুলো হলো- ৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ১৭ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক এবং ১৬৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার গ্রাম সড়কের উন্নয়ন করা। এছাড়া ২৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার মাটির সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়ন সড়কে ২৭ মিটার ও গ্রাম সড়কে ৬৮৪ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

এর পাশাপাশি ১২টি মার্কেট ও গ্রোথ সেন্টার, ১৫টি মসজিদ, আটটি কমিউনিটি সেন্টার, সাতটি মন্দির, আটটি পুকুর ঘাট, সাড়ে ১০ কিলোমিটার খাল, চারটি কবরস্থান ও তিনটি শ্মশানঘাট নির্মাণ করা হবে।

২৩০ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশনসহ বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনও নির্মাণ করা হবে।

ভারতে অবস্থিত ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ১৯৪৭ সালের পর থেকে দীর্ঘ ৬৮ বছর ছিটমহলগুলোতে কোনো উন্নয়নই হয়নি। প্রকল্পের আওতায় এই প্রথম সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

** অবকাঠামো উন্নয়নে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।