ঢাকা: হাঁটু কাদায় পা ডুবিয়ে, শরীরজুড়ে কাদা মেখে, কাদাজলে হাঁড়ি ভাসিয়ে অথবা কাঁধে থলি ঝুলিয়ে মাছ ধরা চিরায়ত বাঙালিয়ানা। শুকনো মৌসুমে খাল-বিল-পুকুর শুকিয়ে ধরা হয় দেশি প্রজাতির হরেক রকম মাছ।
গ্রামে এখনো এ দৃশ্যের দেখা মেলে। তবে শহরের আশাপাশে দেখা মেলা ভার। সম্প্রতি এভাবে মাছ ধরার চমৎকার দৃশ্যের দেখা মিললো রাজধানীর খিলগাঁও সংলগ্ন নাগদার পাড় এলাকায়।
বর্ষায় যখন নদী-নালার পানি বাড়তে শুরু করে তখন পানিতে ভরে ওঠে খাল-বিল। বর্ষা মৌসুম মাছের বংশবিস্তারের সময়। নতুন পানিতে মাছেরা বেড়ে উঠে আপন গতিতে।
শীতের শুরুতে বাংলাদেশের খাল-বিলের পানি শুকাতে শুরু করে। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় মাছ ধরা।
বাংলাদেশের বিল ও হাওরাঞ্চলে বিশেষ করে এই মাছ ধরা উৎসবে পরিণত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলেও গ্রামের মতো চলছে আনন্দে মাছ ধরা।
নাগদার পাড় এলাকা ঘুরে দেখা গেলো ছোট-বড় সবাই মিলে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া ডোবাতে মাছ ধরতে ব্যস্ত।
ধরাও পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ। ফলে মাছ ধরার কষ্ট ভুলে গিয়ে তাদের মুখে ফুটে উঠেছে প্রাপ্তির হাসি।
কেউ ঝুড়ি, কেউ থলি নিয়ে নেমে পড়েছে মাছ ধরতে। শিশুরাও বাদ নেই এ আনন্দ থেকে। কাদাজলে শরীর ডুবিয়ে মাছ ধরছে তারা।
দিনশেষে অর্জনও কম নয়। কারও ভরেছে জুড়ি, কারও থলি।
কাদামাখা মাছে যখন পানি ঢালা হলো তখন চকচক করে উঠলো মাছগুলোর শরীর।
চক চক করে উঠলো মাছ ধরতে যাওয়া সবার চোখ-মুখও। হবেই বা না কেন! শোল, টাকি, পুঁটি, গচি, মলা, কই, শিং প্রভৃতি দেশি সুস্বাদু মাছে থলে ভরলে কার না মন ভালো হয়ে যায়!
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এএ