পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জাকিরুল ইসলাম জাকু (৩৫) নামে এক যুবককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফেতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের পূর্ব শেরপুর বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের জমিতে অবস্থিত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছ থেকে জাকিরুল ইসলাম জাকুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সংলগ্ন উত্তর চৌহাটী গ্রামের আবু মোতালেব ভেকু (৫০) ও একই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে আসাদুল হক ফেকু (৩৫)।
গ্রেফতারকৃত ভেকু ও ফেকু জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে জাকু, ভেকু, ফেকুসহ ছয়/সাতজন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরি করে। সেই তার জাকুকে বিক্রি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাকু বেশি দামে তার বিক্রি করে কম দামের কথা বলে অন্যদের মধ্যে চার হাজার টাকা করে ভাগ দেন। পরে ভেকু, ফেকুসহ অন্যরা বেশি দামে তার বিক্রির কথা জানতে পেরে জাকুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
শনিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভেকু, ফেকুসহ অন্যরা চুরি করতে যাওয়ার কথা বলে জাকুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের জমিতে যান। সেখানে ভেকু ও ফেকু ৩৩ কেভি একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে জাকুকে হত্যা করে জমিতে ফেলে রাখে।
এসআই ফেরদৌস আরো জানান, জাকু, ভেকু ও ফেকু চিহ্নিত চোর।
এ ব্যাপারে নিহত জাকুর স্ত্রী সানোয়ারা বেগম শানু বাদী হয়ে ভেকু ও ফেকুসহ অজ্ঞাত আরও তিন/চারজনের নামে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জাকু উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার মৃত সাইরুদ্দিনের ছেলে। ১৫ বছর আগে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংলগ্ন উত্তর চৌহাটী গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন।
** পার্বতীপুরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
আরএ