ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ড. দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
ড. দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ঢাকা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ড. ইরিনা ভট্টাচার্যের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
 
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) থেকে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) চিঠি পাঠানো হয়েছে।


 
সিআইসি’র একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। চিঠির দু’টি কপি বাংলানিউজের হাতে এসে পৌঁছেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ’১৯৮৪ এর ধারা ১১৩ (এফ) অনুযায়ী সিআইসি’র সহকারী পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যাংক দেবপ্রিয় দম্পতির হিসাব বিবরণী ও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ তথ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
 
সিডিবিএলের এর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ইরিনা ভট্টাচার্য বা তাদের পরিবারের কোনো সদস্যের একক বা যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা বিও অ্যাকাউন্ট থাকলে তার তথ্য প্রদান করতে হবে। ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী আয়কর অধ্যাদেশ’১৯৮৪ এর ১১৩ (এফ) অনুযায়ী প্রদান করার অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে পূর্বে ছিল কিন্তু বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে এরুপ হিসাবের তথ্য ও দিতে অনুরোধ করা হলো’।
 
চিঠিতে ড. দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রীর ঠিকানা ফ্ল্যাট # বি২, হাউজ # ২এ, রোড # ৬৩, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২, ফ্ল্যাট বি২, হাউজ# ২এ, রোড # ৬০, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২, হাউজ #১৫৭, লেন-২২, ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা, হাউজ # ৪০/সি, রোড # ১১ (নতুন), ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯ উল্লেখ করা হয়েছে।
 
ব্যাংক নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ড. দেবপ্রিয় ও তাদের পরিবারের সদস্যদের একক বা যৌথ নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যেকোনো ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব, যেকোনো ধরনের বা মেয়াদি সঞ্চয় হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত থাকলে ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী সাতদিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
 
চিঠি দু’টিতে তথ্য সরবরাহ না করা হলে আয়কর অধ্যাদেশ’১৯৮৪ এর ধারা ১২৪ (২) অনুযায়ী এককালীন ২৫ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে প্রতিদিনের জন্য ৫শ’ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আয়কর অধ্যাদেশ’১৯৮৪ এর ১৬৪ (সিসি) অনুযায়ী অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপের লক্ষ্যে বা ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবেও বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম চিঠি দেখতে ক্লিক করুন
দ্বিতীয় চিঠি দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৫
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।