ঢাকা: বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের জমি দখল এবং তাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সরকারি দলের সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে ‘অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলন’।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল ও তাদের ওপর হামলার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী সরকার দলীয় এমপি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে মাজহারুল ইসলামসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও হামলার অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, জোরপূর্বক ভূমিদখল, সহিংস হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। পুলিশ এসব বিষয় জেনেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কোনো নির্যাতনকারী গ্রেপ্তার হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এতে প্রশাসন নীরব রয়েছে। প্রশাসনের এ নীরব ভূমিকা দেখে আমরা বিস্মিত হচ্ছি।
লিখিত বক্তব্য শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনাতে এমপি দবিরুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। এছাড়া ফরিদপুরে এ ধরনের একটি ঘটনায় একজন মন্ত্রীর নামও এসেছে।
এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, পিরোজপুরের সাংসদ এ কে এম এ আউয়ালও একইভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করছেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের ৫৫টি পরিবারের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জিতেন্দ্র চন্দ্র সিংহ, ভাকারাম সিং ও অকুল চন্দ্র সিং। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ/